কবিতা -জৈষ্ঠ্যের দখিণা বাতাস,

জৈষ্ঠ্যের দখিণা বাতাস,
-সত্য দেব পতি

বিরামহীন বিরহী মনে বাসা বেঁধে আছে অতীত,
জৈষ্ঠ্যের রৌদ্র দহনে গলে পড়ছে বিশ্বাসের ঘৃত!
ক্লান্তিময় দুপুরে দুরের গাছে ঘুঘুর ডাক-
বুকের অলিন্দে প্রবাহিত হয় উষ্ণ বাতাস।

ভালোবাসার অলিন্দে বন্ধ হয়ে আছে বৈজ্য রক্ত,
রুগ্ন সময়ে অলীক বাস্তবের জীর্ণকায় ছবি-
অশান্ত বুকে বাড়ে হাহাকার ওঠে সামুদ্রিক তুফান;
মরু ঝড়ে বিদ্ধস্ত নিভূ দীপের গাঢ় অন্ধকার!
হারিয়ে যায় সবকিছু অসীম দিগন্তে।

হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছেগুলো পথ খোঁজে রাতের আঁধারে;
ধ্রুপদ সঙ্গীতের মূর্ছনায় শেষ হয় তন্দ্রা –
চোখ মেলে দেখি পুবাকাশে এখনো ধ্রুবের অবস্থান,
ঐসব নক্ষত্র পথ দেখায় দরিয়া নাবিককে।

রাতের প্রহরে আমি নিদ্রাহীন বাস্তব,
ভোরের আলো কখন ফুটবে সেই অপেক্ষায় বসে থাকি!
নীল আকাশের নিস্প্রভচাঁদের জোছনা মাখি অঘোরে-
জোছনা স্নানে সিক্ত হয়না দেহ মন
রাতের যাপনে লেখা থাকে জৈষ্ঠ্যের দখিণা বাতাসের ইতিকথা।

Loading

Leave A Comment